অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নে জাবরা নামক গ্রামে 1 মে 1954 সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আনিছউদ্দিন আহমেদ ও মাতা সাহেরা খাতুন। তাঁর স্ত্রী সালেহা সুলতানা এবং তিনি দুই পুত্রসন্তানের জনক।
মোহাম্মদ কায়কোবাদ ১৯৭০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মানিকগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১তম স্থান অধিকার করেন। ১৯৭২ সালে দেবেন্দ্র কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ওডেসা ইনস্টিটিউট অব মেরিন ইঞ্জিনিয়ার্স থেকে মাস্টার অব সায়েন্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার এপ্লিকেশন্স টেকনোলজিতে মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। [১]
ড. কায়কোবাদ ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডক্টরেট সম্পন্ন করে দেশে ফিরে ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। একই বছর তিনি বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্সে জ্যেষ্ঠ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদে এবং ১৯৯৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [২] এছাড়া তিনি নানা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
ড. কায়কোবাদ একাধিকবার এসিএম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালে বুয়েট দলের কোচ হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।[৩][৪]
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্বমানের মেধার প্রতিযোগিতায় যোগদান করতে উৎসাহ দেন। তিনি ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল মিলে নিউরণে অনুরণন কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, যা পরে বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াড চালুর পথ সুগম করে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তিনি গণিত অলিম্পিয়াডে প্রস্তুতির ওপর বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। তার লেখা কলামে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্যের খবর এবং দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের পাঠ্যসূচী প্রণয়নে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, জীবন বীমা কর্পোরেশন, নির্বাচন কমিশন, পরিসংখ্যান ব্যুরো, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারাইজেশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। [৫]১৯৯৮ সালের অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির মূল আয়োজক হিসেবে কাজ করেছেন ।
মোহাম্মদ কায়কোবাদ ১৯টি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, ১৭টি মাস্টার্স ত্তত্বাবধান করেছেন। (জানুয়ারি ২০০৪ পর্যন্ত) [৬]
মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, ইত্তেফাক, The Daily Star, The Independent, The Observer, প্রভৃতি দৈনিকে এবং কম্পিউটার জগত, কম্পিউটার বিচিত্রা, কম্পিউটার বার্তা প্রভৃতি কম্পিউটার ম্যাগাজিনে দুই শতাধিক নিবন্ধ লিখেছেন।
প্
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস